একাদশ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা এবং সরকারের অর্জন নিয়ে কথা বলে। একাদশ সংসদে তারা ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ সময় ব্যয় করেছেন সরকারের অর্জন নিয়ে কথা বলে। তবে তারা দুর্নীতি নিয়ে কম কথা বলেন।
রোববার (১ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এ তথ্য তুলে ধরেন।
টিআইবির ওই গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় ১৮৬ ঘণ্টা ২৬ মিনিটের মধ্যে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় ব্যয় করেছেন ১৯.৮ শতাংশ ও সরকারের অর্জন নিয়ে কথা বলে ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ সময় ব্যয় করেছেন। আর প্রায় ১৮ শতাংশ ব্যয় করেছেন অন্য দলের সমালোচনায়। সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছেন শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ সময়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু ক্ষমতাসীন দলের সদস্য না। সরকারের প্রশংসায় সময় ব্যয় করেছে বিরোধী দলের সদস্যরাও। প্রধান বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্য সরকারের বিভিন্ন অর্জন এবং প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসায় ১১.৯ শতাংশ সময় ব্যয় করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা আরও হয়, রাষ্ট্রপতির যেসব ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আনা হয়, সে ভাষণেও সরকারের অর্জন নিয়ে আলোচনাই প্রাধান্য পেয়েছে। বছরের প্রারম্ভিক ৫টি অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ পাঠে ৪ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট ব্যয় হয়। এর চার-পঞ্চমাংশ সময় ব্যয় করা হয়েছে সরকারের অর্জন নিয়ে আলোচনাতেই। রাষ্ট্রপতির এসব আলোচনায় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনার বিষয় তেমন গুরুত্ব পায়নি।
জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী সংসদীয় কমিটিগুলোর প্রতি মাসে অন্তত একটি করে বৈঠক করার কথা। কিন্তু কোনো কমিটিই এ নিয়ম মানেনি বলে টিআইবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।