সিলেট ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

মীর মুগ্ধ কে নিয়ে আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইভার এর ফেসবুক পোস্ট

admin
প্রকাশিত জুলাই ৩১, ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ণ
মীর মুগ্ধ কে নিয়ে আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইভার এর ফেসবুক পোস্ট

আওয়াজ ডেস্ক:মীর মুগ্ধ কে নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইভার তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেইজ এ একটি পোস্ট দেয়।

এতে বলা হয় ‘এটি একটি হৃদয়বিধারক ঘটনা যে  আমরা আমাদের ফাইভার পরিবারে ক্ষতির কথা শিখেছি। বাবা-মা ও দুই ভাইকে রেখে গত সপ্তাহে মারা যান মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ । মীর একজন প্রতিভাবান মার্কেটার ছিলেন যিনি SEO এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে তার দক্ষতার মাধ্যমে ফাইভার এ একটি সফল ব্যবসা তৈরি করেছিলেন। তার চেয়েও বড় কথা, তিনি ছিলেন একজন আগ্রহী ভ্রমণপিপাসু, একজন প্রতিভাবান ফুটবলার, একজন বাংলাদেশ স্কাউট এবং একজন সত্যিকারের মানবতাবাদী।মীরকে আমরা হারিয়েছি। তার পরিবার এবং বন্ধুদের জন্য দোয়া করি.’

 

গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান মুগ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। ভালো খেলোয়াড়, গায়ক, সংগঠক হিসেবে গত চার বছর ধরে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন ক্যাম্পাসে। গণিতে স্লাতক শেষ করে গত মার্চে ঢাকায় যান। এমবিএতে ভর্তি হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি)।

ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মুগ্ধর সঙ্গে থাকা বন্ধু নাইমুর রহমান আশিক বলেন, ‘কারও বিপদ দেখলে সব সময় ছুটে যেতেন মুগ্ধ। উত্তরায় ছাত্রদের ওপর হামলা হচ্ছে শুনে অন্য বন্ধুদের নিয়ে ছুটে যান তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। ওই দিন অনেককেই হাসপাতালে নিয়ে গেছি আমি ও মুগ্ধ। বিকেল ৬টার দিকে ছাত্রদের মাঝে পানি ও বিস্কুট দিয়ে সড়ক ডিভাইডারে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। হঠাৎ রাজউক কমার্শিয়ালের সামনে থেকে পুলিশ গুলি করতে করতে এগিয়ে এলে সবার সঙ্গে আমরাও দৌড় দিই। হঠাৎ দেখি গুলি লাগায় সড়কে পড়ে গেছে মুগ্ধ। তাঁর কপালে গুলি লেগে ডান কানের নিচ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

মুগ্ধর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। জন্ম ১৯৯৮ সালে উত্তরায়। দাফন হয়েছে এখানেই। উত্তরার ইসলামিক এডুকেশন সোসাইটিতে প্রাথমিক এবং উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। ২০১৯ সালে ভর্তি হন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। লেখাপড়ার পাশাপাশি ফুটবল খেলোয়াড়, গায়ক, গিটারিস্ট ও সংগঠক হিসেবে সুনাম ছিল তাঁর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান শিক্ষা সমাপনী-২০২৩-এর কনভেনর ছিলেন। ছিলেন স্কাউট গ্রুপের ইউনিট লিডার। শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশ স্কাউটস থেকে ‘ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিলেন।

তিন ভাইয়ের মধ্যে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ও মুগ্ধ ছিলেন যমজ। বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত বলেন, পরিবারে সবার আদরের ছিল মুগ্ধ। ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করত সে। এমবিএর পাশাপাশি দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য আইইএলটিএস করছিল। কিন্তু সব কিছু এভাবে শেষ হয়ে যাবে, কে জানত!

মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, ‘আমাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে মায়ের সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখত মুগ্ধ। সব সময় মাকে দেখেশুনে রাখত। ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের খরচ চালাত। মা এখনও কাঁদছেন। বাবা চুপচাপ হয়ে গেছেন।’

খুবির গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ আবদুস সামাদ বলেন, অসাধারণ ছেলে ছিল মুগ্ধ। কারও সঙ্গে কখনও গোলমাল, বেয়াদবি করতে শুনিনি। ক্লাসে ওকে বকা দিলে এমনভাবে হেসে দিত, পরে ওকে আর কিছু বলতে পারতাম না।

ক্যাম্পাসে মুগ্ধর জুনিয়র মুহিব্বুল্লাহ বলেন, ‘যে কোনো আয়োজনে সামনের সারিতে থাকতেন মুগ্ধ ভাই। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের আগে আন্দোলনে আমরা সক্রিয় ছিলাম। ঢাকায় থেকে তিনি আমাদের সাহস দিতেন।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে চতুর্থ বর্ষের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাস খুললে খুবির প্রধান ফটকের নাম ‘শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ ফটক’ করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাবেন তারা।

 

For more information

আরো দেখুন|

Summary
মীর মুগ্ধ কে নিয়ে আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইভার এর ফেসবুক পোস্ট
Article Name
মীর মুগ্ধ কে নিয়ে আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইভার এর ফেসবুক পোস্ট
Description
মীর মুগ্ধ কে নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইভার তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেইজ এ একটি পোস্ট দেয়। এতে বলা হয় ‘এটি একটি...
Author
Publisher Name
sylheterawaz24
Publisher Logo