হরতালে যেকোনো ধরনের সহিংসতা ঠেকাতে মাঠে শক্ত অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নগরের জিন্দাবাজারে পিকেটারদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
সকালে জিন্দাবাজার এলাকায় সকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে পিকেটিং করার চেষ্টা করলে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। জিন্দাবাজার পয়েন্ট ও কাজি ইলিয়াস এলাকায় সড়কে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাঁতিপাড়ার গলি থেকে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী হঠাৎ বের হয়ে পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। তবে পুলিশের ধাওয়ায় তারা দাঁড়াতে পারেনি রাস্তায়। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের দিকে রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এসময় পিকেটিংকারী একজনের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেল পুলিশ জব্দ করে ।
এসময় ফাঁকা গুলি করলে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে আশেপাশে অলিগলিতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
রোববার সকাল ৭টায় দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল, হুমায়ুন রশিদ চত্বর,কদমতলী বাসস্ট্যান্ড ও পাবনা পয়েন্টে দেখা যায় প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে ওসব জায়গায় কাউকে পিকেটিং করতে দেখা যায়নি।
হরতাল ডেকে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মাঠে না থাকলেও গণপরিবহন চলাচল তুলনামূলক কম দেখা গেছে। তবে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, রিকশা, সিএনজিসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে।
এদিকে, হরতালের ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কর্মজীবী মানুষদের। গণপরিবহন কম থাকার কারণে তাদের ভোগান্তির পাশাপাশি গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
এদিকে, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালেও সিলেটে গণপরিবহন (বাস) চলবে বলে জানিয়েছেন জেলা বাস মালিক সমিতির নেতারা। শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম।
সিলেটে ভোর থেকে নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি বিশেষ টিম ‘ক্রাইসিস রেন্সপন্স টিম- সিআরটি’ রয়েছে মাঠে। এছাড়া সাদা পোশাকেও পুলিশ বাহিনী রয়েছে মাঠে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ বিপিএম (বার) পিপিএম বলেন, সিলেটের জনগণের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা মাঠে রয়েছি। হরতালকে কেন্দ্র করে কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে আমরা কঠোরভাবে তা দমন করবো। আজ ভোর থেকে আমাদের মোবাইল টিম, সিআরপি ও সাদা পোশাকে একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।