দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ২৩ রান তুলে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনটা শেষ করেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশকে আবারও ব্যাট করাতে ৯৪ রান দরকার ছিল দলটির। উইকেটে ছিলেন আবদুল্লাহ শফিক ও শান মাসুদ। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদকে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন হাসান মাহমুদ।
তবে মাসুদের ক্যাচ নেওয়া লিটনই পরের ওভারে শরীফুলের বলে বাবর আজমের ক্যাচ ছেড়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া বাবর বেঁচে গেছেন ‘পেয়ার’ পাওয়া থেকে। টেস্ট ক্রিকেটে দেড় বছরেরও বেশি হাফ সেঞ্চুরিহীন বাবর অবশ্য দ্বিতীয় জীবনকে খুব একটা কাজে লাগাতে পারেননি।
২২ রানে নাহিদ রানার করা ঘণ্টায় ১৪৬.৪ কিলোমিটার গতির বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন। এরপর পাকিস্তানের ভরসা ছিল সৌদ শাকিল। কী মনে করে যেন পরের ওভারেই সাকিবের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে শট খেলতে চাইলেন শাকিল। ফলাফল স্টাম্পড হয়েছেন প্রথম ইনিংসে ১৪১ রান করা শাকিল।টেস্ট ক্যারিয়ারে যা তার ক্যারিয়ারে প্রথম শূন্য।
৬৭ রানে ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তান এরপর পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেয়। শফিককে সঙ্গে নিয়ে রিজওয়ান গড়েন ৩৬ বলে ৩৭ রানের জুটি। রিজওয়ানই ছিলেন আক্রমণের নেতৃত্বে, শফিক খেলছিলেন দেখেশুনে। তবে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সাদমানের হাতে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। পরের ওভারেই মিরাজ ফেরান সালমান আলী আগাকে।
এরপর রিজওয়ান একলা লড়াই চালিয়ে যান। তুলে নেন ফিফটি। তবে সেই ফিফটি বাংলাদেশের সামনে শঙ্কার কারণ হতে পারেনি। মিরাজের বলে ৫১ রান করে বোল্ড হন রিজওয়ান। এরপর শেষ উইকেট যাওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। সেটাই হয়েছে। এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে পাকিস্তানের শেষ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আলীকে ফেরান মিরাজ। ১৪৬ রানেই অলআউট হয় পাকিস্তান, যা টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান : ৪৪৮/৬ ডি. ও ১৪৬ (রিজওয়ান ৫১, শফিক ৩৭, বাবর ২২, মাসুদ ১৪; মিরাজ ৪/২১, সাকিব ৩/৪৪)।
বাংলাদেশ: ৫৬৫ ও ৩০/০ (জাকির ১৫*, সাদমান ৯*)।
ফল: বাংলাদেশ ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুশফিকুর রহিম।
সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে।