আওয়াজ প্রতিবেদক:: হবিগঞ্জে টিউমার অপরেশনের সময় খাদ্যনালি, জরায়ু ও কিডনি কেটে ফেলায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে চিকিৎসকসহ চারজনের নামে থানায় মামলার এজাহার করতে ওসিকে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন। আদালতের স্টেনো মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মৃত্যুবরণকারী ওই নারীর নাম রহিমা খাতুন। তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার ওই নারীর চাচাতো ভাই রহমত আলী আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন।
অভিযুক্তরা হচ্ছেন হবিগঞ্জ শহরে দ্য ল্যাব এইড হাসপাতালে কর্মরত গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. এসকে ঘোষ, দ্য জাপান-বাংলাদেশ হসপিটালের পরিচালক একে আরিফুল ইসলাম এবং ‘দালাল’জনি আহমেদ ও তাবির হোসাইন।
আদালতসূত্রে জানা গেছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৬ (৩) ধারা অনুসারে ওই ৪ জনের নামে মামলার এজাহার (এফআইআর) করতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন আদালত।
নিহতের পরিবারসূত্রে জানা যায়, পেটের টিউমার নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে গিয়েছিলেন রহিমা খাতুন। পরে দালালরা ভুল বুঝিয়ে তাকে দ্য জাপান-বাংলাদেশ হসপিটালে নিয়ে যান। সেদিন রাতে এসকে ঘোষ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারীর পেট থেকে টিউমার অপসারণ করেন। সেখানে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এরপর রহিমা অসুস্থ হয়ে পড়লে আবার দ্য জাপান-বাংলাদেশ হসপিটালে আসেন এবং সেখান থেকে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকেও চিকিৎসকরা তাকে সিলেটে পাঠিয়ে দেন। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এদিকে অবৈধভাবে হাসপাতাল পরিচালনার জন্য হবিগঞ্জে দ্য জাপান-বাংলাদেশ হসপিটালের পরিচালক একে আরিফুল ইসলামকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।