সিলেট ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

কানাইঘাটে অগ্নিকান্ডে প্রবাসীর বসত ঘর পুড়ে ছাই : ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

Stuff
প্রকাশিত নভেম্বর ২৬, ২০২৩, ১১:০৭ অপরাহ্ণ
কানাইঘাটে অগ্নিকান্ডে প্রবাসীর বসত ঘর পুড়ে ছাই : ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

আওয়াজ ডেস্ক:: কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নে আগতালুক গ্রামে গত শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সৌদি প্রবাসীর টিনসেডের বসত ঘর সম্পূর্ণভাবে ভষ্মিভূত হওয়ায় অনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর অগ্নিকান্ডে ভষ্মিভূত ঘর পরিদর্শন করে পরিবারের সদস্যদের শান্তনার পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ তহবিল থেকে ৫ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পল্লীবিদ্যুৎ এর মিটারের সর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগতালুক গ্রামের মাও. আব্দুল জলিলের পুত্র সৌদিআরব প্রবাসী আলিম উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে তিনি সহ তার স্ত্রী, ছোট ভাই মাসুদ উদ্দিন সহ ৪ জন নিজ নিজ কক্ষে শুয়ে পড়েন। রাত অনুমান আড়াইটার দিকে আগুনের তাপে ঘুম ভাঙলে বসত ঘরের চারদিক থেকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে ঘর থেকে কোনমতে বের হয়ে তারা প্রাণে রক্ষা পান। তাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঘরের আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মুহুর্তের মধ্যে আগুন পুরো বসত ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে টিনশেডের বসত ঘরে থাকা নগদ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, পাসপোর্ট, সৌদিআরবের ভিসা-টিকেট, দলিল-পত্রাদি সহ ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র সম্পুর্ণ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে অনুমান ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। তবে বাড়ির অন্যান্য বসতঘর গুলো আগুন থেকে রক্ষা করেন স্থানীয় লোকজন।
সৌদি প্রবাসী আলিম উদ্দিন ও তার ছোট ভাই মাসুদ উদ্দিন জানান, অগ্নিকান্ডের পূর্বের দিন বৃহস্পতিবার কানাইঘাট গাছবাড়ী পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের লোকজন তাদের বসত ঘরের পূর্বের বৈদ্যুতিক মিটারটি বিদ্যুৎ বিল কম আসার কারনে খুলে নেয়ার জন্য বাড়িতে আসেন। তাদের আপত্তির মুখে পল্লীবিদ্যুৎ এর লোকজন বসত ঘরে নতুন মিটার সংযোগ দেন। পরদিন শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে এবং আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক মিটারের সর্টসার্কিট থেকে হয়েছে। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, অগ্নিকান্ডের সময় তাৎক্ষণিক ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করার জন্য পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ফোনে জানানোর পরও তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করেননি। পরবর্তীতে ৯৯৯ এ ফোন দেয়ার পর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়। তাৎক্ষণিক ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ না করায় তাদের পরিবার বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর বলেন, প্রবাসী আলিম উদ্দিনের বসত ঘর আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত হওয়ার পর তিনি ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরিন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। পল্লীবিদ্যুতের গাফিলাতির কারনে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। বিদ্যুৎ জনিত দুর্ঘটনা ঘটলে স্থানীয় পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হলেও অনেক সময় তারা সাড়া দেন না। অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ সহ অগ্নিকান্ডে নিঃস হয়ে যাওয়া প্রবাসীর পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।