স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১৯৮৪ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চালু করা হয়। ২০১১ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এলাকার জনগণ পাচ্ছিল ভালো সেবা। তবে বর্তমানে এই হাসপাতালটিতে ডাক্তার সংকট চলার কারনে ব্যহত হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। বহির্বিভাগ চালু থাকলেও অন্দর বিভাগ বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলার প্রায় আড়াইলাখ মানুষের জন্য একটি হাসপাতালে শুধু বহি: বিভাগে প্রতিদিন ৬শ –৭শ ভুক্তভোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে হাসপাতালটি। ১০ জন সহাকারী সার্জন থাকার কথা থাকলেও কাগজ পত্রে আছে দুইজন। একজন রয়েছেন সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারে। আর একজন দিয়েই পুরো আড়াইলাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ডাক্তার সংকটের কারনে হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. সুমাইয়া আক্তার দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের রোগীদের।
হাসপাতালে জুনিয়র কলসালটেন্ট ১১ জন থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ৫জন, নেই আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারও, সহকারী সার্জন ১০ জন থাকার কথা থাকলেও আছেন দুই জন, একজন অন্যত্র প্রেষনে, নেই নার্সিং সুপারভাইজারও, সিনিয়র স্টাফ নার্স ২৪ জন থাকার কথা থাকলেও নেই ৫জন, মিডওয়াইফ ৪ জন থাকার কথা থাকলেও কাগজপত্রে আছেন একজন, বাস্তবে হাসপাতালে নেই তিনি।তৃতীয় শ্রেনীর ৬২ জন থাকার কথা থাকলেও নেই ২৪ জন। ১৫২ জন স্টাফের মধ্যে ১০৩ জন দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলছে বাহুবল হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা ভাদেশ্বর গ্রামের আছিয়া বেগম জানান, ভর্তি হয়েছি দুদিন আজ সকালে একজন ডাক্তার আসছিলেন আর কোন ডাক্তার আসেননি।
মুড়াউড়া গ্রামের সাবানা আক্তার বলেন, একজন ডাক্তার থাকায় তাদের ডাক্তার দেখানোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যদি ডাক্তারের সংখ্যা বাড়ানো হয় তবে তারা সহজে সেবা পেতে পারেন।
হাফিজপুর থেকে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ডায়রিয়া নিয়ে দু দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি, নার্স স্যালাইন একটা দিয়েছে আর কেউ আসেননি।
রোগীর সাথে বাদেউল্লাহ গ্রাম থেকে আসা ফুল মিয়া জানান, আজ তিন দিন যাবৎ হাসপাতালে আছি, সকালে একবার ডাক্তারের দেখা পাই পরে আর ডাক্তারের দেখা পাইনা।
বহি: বিভাগে চিকিৎসা নিতে ভেড়াখাল গ্রামের জলিল মিয়া বলেন, ডাক্তার একজন থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে পরে দোতলায় গিয়ে একজন মহিলা ডাক্তারের দেখা পাই।
এ ব্যাপারে বাহুবল হাসপাতালে আর এম ও (ভারপ্রাপ্ত) ডাক্তার সোমাইয়া আক্তার জানান, লোকবলের অভাবে এই হাসপাতালে রোগীদের ভালো সেবা দেয়া যাচ্ছে না। চাহিদামতো ডাক্তার, নার্স ও ক্লিনার কোনোটাই নাই এই হাসপাতালে।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. বাবুল কুমার দাস জানান, ডাক্তার সংকট সহ অন্যান্য স্টাফ সংকটের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি। হয়তো খুব দ্রুত এই হাসপাতালের প্রয়োজনীয় জনবল সরবরাহ করা হবে।
হবিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুরুল হককে এ বিষয়ে জানতে কল দিলে তিনি জানান, খুবই কঠিন অবস্থা! আজকে ডিজি মহোদয়কে জানিয়েছি। আমি এই সংকটটি যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
For more information
আরো দেখুন|
Summary
Article Nameবাহুবলে ৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা চলছে একজন ডাক্তার দিয়ে
Descriptionহবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১৯৮৪ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চালু করা হয়। ২০১১ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়..
Author
sylheterawaz24
Publisher Name
sylheterawaz24
Publisher Logo