শনিবার (২১ অক্টোবর) বেলা ২টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের এমন অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন মোহাম্মদ আব্দুল হেকিম।
ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির চানপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হানিফ উল্ল্যার ছেলে আব্দুল হেকিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিজের সহায়-সম্পত্তি বিলিয়ে সন্তানদের মানুষ করতে প্রবাসে পাঠান তিনি। কিন্তু সেই সন্তানরা এখন সম্পত্তির লোভে হামলা-মামলা করে তাকে কারাগারে পাঠাতে চায়। প্রাণে বাঁচতে আদালতে মামলা করেও রেহাই পাচ্ছেন না তিনি।
আব্দুল হেকিম বলেন- তার ছেলে আব্দুল গনি, আব্দুল ওয়াহাব, আবুল কালাম এবং সন্তানদের পক্ষ হয়ে তার ভাই সামির উদ্দিন সম্পত্তি দখল করতে দলিল করতে চাপ দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় তারা মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি এজহার হিসেবে গ্রহণ করতে ওসমানীনগর থানাকে নির্দেশ দেন। মামলা দায়েরের পর তার সন্তান ও সহযোগীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িতে অরাজকতা সৃষ্টি করে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিতে চায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২১ নভেম্বর পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন হেকিম।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হেকিম আরও বলেন, এ ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থে ওসমানীনগর অনলাইন প্রেসক্লাবে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনের খবর প্রচার করায় সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নানা রকম বাজে মন্তব্য করতে শুরু করেন তার সন্তানরা। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ দাখিল করেন তিনি। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরবর্তীতে তার সন্তান আব্দুল গনি দেশে এলে মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে পুলিশের সামনে ক্ষমা চায়। তাই মামলাটির কার্যক্রম স্থিমিত রাখেন আব্দুল হেকিম। এ সুযোগে তার বিরুদ্ধে ও সাংবাদিকদের জড়িয়ে উল্টো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে আব্দুল গনি। বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে আরও মামলা করার হুমকি দিচ্ছে তার ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল গনি।
এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন আব্দুল হেকিম। একই সাথে সন্তানদের দায়ের করা মামলা থেকে তিনি নিজে ও সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানান।