শ্রীমঙ্গলে লেমন গার্ডেন রিসোর্ট থেকে উদ্ধার করা মরদেহের বিষয়টি এখনো  রহস্যেঘেরা রয়েছে। এটা কি হত্যাকান্ড না কিভাবে তাঁর মৃত্যু হলো তা অজানা রয়ে গেছে। এ ঘটনায় জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।  

তবে পুলিশ ধারণা করছে,  ব্যবসায়িক লেনদেন বা নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারণে ঘটনা ঘটতে পারে। পলাতক আসামীরা ধরা পড়লে প্রকৃত সত্য জানা যাবে।

এদিকে আজ সোমবার সকালে নিহত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মুন্নী বেগম বাদী হয়ে পলাতক আসামীদের বিবাদী করে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

একটি সূত্র জানায়, কক্ষে ৫জন থাকলেও দুজনের নাম এন্ট্রি করা হয়। কারণ রাব্বী শ্রীমঙ্গলের অন্য একটি নামীদামি রিসোর্টে চাকুরী করার সুবাদে পূর্ব পরিচিত ছিলো। ফলে বাকী দুইজনের নাম পরিচয় রিসোর্ট কতৃপক্ষ বা পুলিশ জানতে পারেনি।

জানা যায়, ২৫ আগস্ট সকাল প্রায় পৌনে ৮ টার দিকে চাঁদপুরের শাহারাস্তি উপজেলার  খাসেরবাড়ি গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে মো:  নুরুল আমিন রাব্বিসহ অজ্ঞাতনামা আরও মধ্যবয়সী ৩ জন পর্যটক শহরতলীর ডলুবাড়ি এলাকার হোটেল লেমন গার্ডেন রিসোর্ট এর বৃষ্টি বিলাসের রুম নং-০৫ এ থাকার জন্য উঠেন। পরবর্তীতে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে হোটেল স্টাফ সহিদুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট রুমে চেকিংয়ের জন্য গেলে ওই রুম তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। এতে তার সন্দেহ হলে ডাকাডাকির একপর্যায়ে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানালে হোটেল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে জানায়।

খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

এদিকে সন্ধ্যার সাড়ে সাতটার দিকে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমানসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে যান। পৌঁছান।

পুলিশের একটি সূত্রের ধারণা, নুরুল আমিন রাব্বি তার সংগীয় অজ্ঞাত নামা ২ জনসহ ২৬ আগস্ট রাত আনুমানিক রাত ৮ টা থেকে পরদিন  ভোর ৫ টার মধ্যে যে কোন এক সময় ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে কাঠের বড় টুকরো দিয়ে মাথায় একাধিক আঘাত করে হত্যাকান্ডটি ঘটায়।

এবিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দার মামলা দায়েরের বিষয়টা নিশ্চিত করে জানান, সুরতহাল রিপোর্টের পর লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনা কি তা নিশ্চিত হওয়া যাবে না।