নিজস্ব প্রতিবেদক:: সরকারি সেবার ভোগান্তির অন্যতম নাম যেন সিলেট বিআরটিএ অফিস। লার্নার আবেদন থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাওয়া পর্যন্ত প্রতি পদে ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। লাইসেন্স নিতে আগ্রহীরা দীর্ঘ লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও পাচ্ছেন না সময়মতো লাইসেন্স। ফলে লাইসেন্স নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। তার উপর অভিযোগ রয়েছে- সিলেট বিআরটিএ অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দালালরা। দালাল ছাড়া হয় না কাজ। আর তাদের মাধ্যমে কাজ করাতে গেলে গুনতে হয় বাড়তি টাকা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কন্ঠে ভিন্ন সুর।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে প্রথমে লার্নার হতে হয়। ৩ মাসের জন্য লার্নার হিসেবে গাড়ি চালানোর অনুমোদন দেয়া হয়। দুই মাস পরে পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষায় পাশ করলে পুলিশ ভেরিফিকেশন, বায়োমেট্রিক ছাপসহ আনুসাঙ্গিক কাজে মোট সাড়ে ৩ মাসে লাইসেন্স পাওয়া যায়। পেশাদার লাইসেন্স পেতে প্রায় ৩ হাজার এবং অপেশাদার লাইসেন্স পেতে প্রায় ৪ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু বাস্তবে চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ করেও ৮ মাস থেকে বছরের আগে সেই লাইসেন্স পাওয়া যায় না। একের পর এক দিন-তারিখ দেওয়া হয় গ্রাহকদের।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ- ড্রাইভিং লাইসেন্সর লার্নার আবেদন করার পর থেকেই শুরু হয় ভোগান্তি। ফরম পূরণের পর করে জমা দিতে পরতে হয় ভোগান্তিতে। জমা দেওয়া এর ফিঙ্গার দিতে দাঁড়াতে হয় দীর্ঘ লাইনে। অনেকে সকল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও পাননা কোন সেবা। অভিযোগ রয়েছে জমা বা ফিঙ্গার দিতে কোন নিয়ম মানা হয় না। সিরিয়াল দিলেও তা মানা হচ্ছে না।
সিলেট বিআরটিএ অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দালালরা। দালালের মাধ্যমে কাজ করিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন অনেকে। বাড়তি টাকা খরচ করেও লাইসেন্স না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিআরটিএ সিলেট সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) মো. রিয়াজুল ইসলাম জানান- এখন সব অনলাইনে হচ্ছে। দলালদের এখানে কোন কাজ নেই। অনলাইন সিস্টেম আসার পর এখন লাইসেন্সের পাওয়া অনেক সহজ হয়ে গেছে। অনলাইন সিস্টেম আসার আগে যারা আবেদন করেছেন তাদের লাইসেন্স পেতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই তা সমাধান হয়ে যাবে।
বিআরটিএ সিলেট অফিসের এসব ভোগান্তি ছাড়া সহজে লাইসেন্স পেতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।