আওয়াজ ডেস্ক:: দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সিলেট কার্যালয়ের আলোকচিত্রী আনিস মাহমুদ আবারও পত্রিকাটির দেশসেরা আলোকচিত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) প্রথম আলোর রজতজয়ন্তী উদযাপন ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান আনিস মাহমুদের হাতে দেশসেরা আলোকচিত্রীর পুরস্কার তুলে দেন।
ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক প্রমুখ।
এর আগে আনিস মাহমুদ ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে প্রথম আলোর দেশসেরা আলোকচিত্রীর পুরস্কার পান। এবার চতুর্থবারের মতো দেশসেরা আলোকচিত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন আনিস মাহমুদ।
২০১০ সাল থেকে প্রথম আলো সিলেট কার্যালয়ের আলোকচিত্রী হিসেবে যুক্ত হন আনিস মাহমুদ। শুরু থেকেই তিনি সিলেটের বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনার ছবি তোলা দেশ-বিদেশে আলেচিত হন। রাতারগুলসহ সিলেটের বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র পরিচিতি পায় তার তোলা ছবির মাধ্যমে।
সিলেট শহরের শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আনিস মাহমুদ। ২০০০ সালের দিকে মামার সাহায্যে কর্মজীবন শুরু করেন জিন্দাবাজার বর্তমান সিটি সেন্টার (সাবেক নওয়াব কমপ্লেক্স) এ কণিকা কালার ল্যাবের ডার্ক রুম থেকে।
২০০৩ সাল থেকে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি শুরু করেন আনিস মাহমুদ। বিয়ে, সেমিনারসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে আউটডোরে পুরোদমে কাজ করেন। ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি ল্যাবে ফটোগ্রাফি করেন। এরপর প্রথম আলোর সিলেট অফিসে ২০০৯ সালের শেষের দিকে আন-অফিসিয়ালি প্রথম আলোতে কাজ শুরু করেন। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে দৈনিক প্রথম আলোতে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান করেন তিনি। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আলোকচিত্রী হিসেবে প্রথম আলোতে যুক্ত আছেন আনিস মাহমুদ।
আনিস মাহমুদ জানান, কখনোই পুরস্কার পাবার আশায় কাজ করিনি! নৈতিকতা পুঁজি করে প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজটুকু করেছি। কাজের সঙ্গে নিজেকে নিত্য নতুন রাখার চেষ্টা করেছি কোনো প্রচেষ্টা বৃথা যায় না, কাজের মাধ্যমেই এর পুরস্কার পাওয়া যায়। ঝুকিপূর্ণ পেশায় পুরস্কারের চেয়ে কাজটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঝুঁকির মধ্যেই রয়েছে পুরস্কার! সত্যে তথ্যে প্রথম আলো’র চোখে আবারও আমি সেরা।