সিলেট ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কানাইঘাট শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ’র ঘুষ-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ 

Stuff
প্রকাশিত অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ০৯:০৬ অপরাহ্ণ
কানাইঘাট শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ’র ঘুষ-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ 
স্টাফ রিপোর্টার:: কানাইঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, ঘুষ-দুর্নীতিসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকদের কাছে টেলিফোনে ঘুষ চাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে তারা সিলেট শিক্ষা অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এতে তারা প্রতিকার দাবি করেছেন। শিক্ষকদের দাবি হচ্ছে; প্রায় আড়াই মাস আগে কানাইঘাট শিক্ষা অফিসে যোগ দেন নূর মোহাম্মদ। এরপর থেকে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়কে অনিয়মের আখড়ায় পরিণত করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মচারী এমপিও করাতে এলে উৎকোচ গ্রহণ, ঘুষ ছাড়া কাজ না করা, সরকারি নির্দেশনা পালন না করা, সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে আসছেন। কানাইঘাট উপজেলার ঝিংগাবাড়ী ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী এবাদুর রহমান সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি প জানিয়েছেন, এমপিওভুক্তির জন্য তিনি সম্প্রতি আবেদন করেন। ওই আবেদন যথানিয়মে উপজেলা শিক্ষা অফিসার অগ্রবর্তী করার কথা রয়েছে।
কিন্তু তিনি আবেদন অগ্রবর্তী না করে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ফাইল ফরওয়ার্ড করতে ২০ হাজার করে ঘুষ ছাড়া ফাইল যাবে না বলে সাফ জানিয়েও দেন। একই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফিজুর রহমান জানান, ‘উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ আসার পর থেকে অনিয়ম এবং ঘুষ-দুর্নীতির সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কোনো কাজে তাকে সহজে পাওয়া যায় না। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে যেকোনো তদন্ত এলে আমরা সবাই সাক্ষ্য দেবো।’ এর আগেও কক্সবাজারের রামু উপজেলায় তার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এরপর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর ১৫ই সেপ্টেম্বর প্রতিকার চেয়ে দরখাস্ত প্রেরণসহ উচ্চপদস্থ বিভিন্ন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন বলে জানান তিনি। এভাবে কানাইঘাট উপজেলাধীন সড়কের বাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার তিনজন কর্মচারীর নিকট একেই বিষয়ে ১৫ হাজার টাকা করে জনপ্রতি ঘুষ দাবি করেন। এ ব্যাপারে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরিন জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কানাইঘাট উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে যেহেতু অভিযোগ সে কারণে আমি ঊর্ধ্বতনদের বলেছি; তদন্ত করুন। দোষী সাব্যস্ত হলে যে ব্যবস্থা নেয়া হবে এতে আমি রাজি।