নিজস্ব প্রতিবেদক, কানাইঘাট: সিলেট জেলার অপরাধ দমন, আসামী গ্রেফতার ও জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশ, সিলেট নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া জেলার সংঘটিত সংঘবদ্ধ অপরাধ, ভিকটিম উদ্ধার, মাদক, খুন, ধর্ষণ, চোরাচালান, পরোয়ানাভূক্ত ও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে জেলা পুলিশ, সিলেট সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় কানাইঘাট থানা পুলিশ সহকারী পুলিশ সুপার, কানাইঘাট সার্কে অলক কান্তি শর্মার দিক নির্দেশনায় এবং অফিসার ইনচার্জ, গোলাম দস্তগীর আহমদ এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারীর কর্মকর্তা এসআই(নিঃ)/সনজিত কুমার রায় সঙ্গীয় এসআই(নিঃ)/রাম চন্দ্র দেব, এসআই(নিঃ)/মাছুম আলম সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় কানাইঘাট থানার চাঞ্চল্যকর কামিল হত্যা মামলার মাষ্টারমাইন্ড তোতা মিয়া (৬০), পিতা- মৃত মজিদ আলী, সাং- নিজ বানীগ্রাম, থানা- কানাইঘাট, জেলা- সিলেট কে জৈন্তাপুর থানাধীন সৈইয়া গ্রামের শাহাবুদ্দিন এর বাড়ি হইতে ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এজাহারের বর্ণনা মোতাবেক জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এজাহার নামীয় আসামী ভিকটিমের চাচা আলা উদ্দিন আলাই (৫৫) এর সাথে ভিকটিমের মনোমালিন্যতা সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ ধৃত আসামী তোতা মিয়া (৬০) এর পরিকল্পনা মোতাবেক এজাহার নামীয় আসামী আলা উদ্দিন, নিজাম, শরীফ, শাহিন, ছয়ফুল আলম, হারুন রশিদ গং ভিকটিম কামিল আহমদের জমিজমা দখলের পায়তারা করিতেছিল। গত অনুমান ০৩ (তিন) মাস পূর্বে আসামী ছয়ফুল আলম সৌদি আরব হইতে দেশে আসে এবং পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক কামিলের সহিত পূর্বের বিরোধ নিষ্পত্তি করে। তাহার সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরবর্তীতে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২১ আগষ্ট রাত প্রায় ১০ টায় ভিকটিম কামিল আহমদ গাছবাড়ী বাজার হইতে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে নিজ বানী গ্রামের সমছুর উদ্দিন এর বাড়ির সামনে পৌঁছামাত্র ফাঁদ পেতে থাকা আসামীগন দা, রড, সুলফি, চাকু দিয়ে ভিকটিম কামিল আহমদকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে গুরুতর রক্তাক্ত ও হাড় ভাঙ্গা জখম করে হাতে থাকা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়া উল্লাস করিয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে মামলার বাদীনি শারমিন বেগম ভিকটিমকে ঘটনাস্থল হইতে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে ভিকটিম কামিল আহমদ মৃত্যুবরন করেন মর্মে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন। ঘটনার কিছুক্ষন পর ভিকটিম মৃত্যুবরন করিলে আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। ভিকটিম ও আসামীগন একই গোষ্ঠীর লোক এবং আসামীগন প্রভাবশালী হওয়ায় আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে এলাকার লোকজন কোনো তথ্য পুলিশ কে প্রদান না করায় থানা পুলিশ কে আসামী গ্রেফতারে চরম প্রতিকুলতার সম্মুখিন হতে হয়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক ঘটনার পর হইতে মামলার তদন্তকারীর কর্মকর্তা এসআই(নিঃ)/সনজিত কুমার রায় কঠোর পরিশ্রম করে অন্যান্য অফিসার ফোর্সের সহায়তায় আসামী তোতা মিয়া (৬০) কে গ্রেফতার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী তোতা মিয়া (৬০) ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
তাহার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হইতেছে।