সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে তিনি মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিপুর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে নগরীর বালুচরের টিবি গেইট এলাকায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন আরিফ। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত দেড়টার দিকে মারা যান তিনি।
পরে এই ঘটনায় নিহত আরিফের মা আঁখি বেগম বাদী হয়ে এসএমপি’র এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু গত বছর অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বেই আরিফকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
আরিফ হত্যার পর ২২ নভেম্বর আঁখি বেগম বাদী হয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় হিরণ মাহমুদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৫ জনকে। মামলার আগে ও পরে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিরা অধরা ছিলেন।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ হিরণ মাহমুদ নিপুকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।