এর মধ্যেই সোমবার (২৭ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
সোমবার নির্বাচন কমিশন থেকে সিলেট-১ আসনের জন্য মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। মিসবাহ টানা তিনবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সিলেট জেলা জজ কোর্টের পিপির দায়িত্বও পালন করেন দীর্ঘদিন। গত সিলেট সিটি নির্বাচনেও মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নপত্যাশী ছিলেন তিনি।
গত নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন একে আব্দুল মোমেন। এরআগে টানা দুই মেয়াদে এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন মোমেনের অগ্রজ, সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত আবুল মাল আবদুল মুহিত। স্বাধীনতার পর থেকে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচিত প্রার্থীর দলই সরকার গঠন করেছে, ফলে এই আসনটি ভোটের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে ডামি প্রার্থী রাখতে মনোনয়নপ্রাপ্তদের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌকার বিরুদ্ধে দলীয় কোন নেতা প্রার্থী হলে এবার শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা না নেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। দলীয় প্রধানের এমন প্রশ্রয়ে এবার মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার চিন্তা করছেন।
এ ব্যাপারে মিসবাহ উদ্দিন সিনাজের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বিকেলে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তার প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গীত মিলেছে। ফেসবুকে মিসবাহ লিখেন- ‘আপনাদের সমর্থন,ভালোবাসা ও দোয়া প্রত্যাশা করছি।’