বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার থানা সদর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অখিল চন্দ্র বিশ্বাস সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওমর আলী বলেন, “সভা চলাকালে মঞ্চের সামনে ছিলাম না, হঠাৎ দেখি মঞ্চের ঝামেলা হচ্ছে। পরে এগিয়ে গিয়ে দেখি, আলফু চাচার লোকজন অখিল চন্দ্রকে মারধর করেছেন। পরে আমরা তাদের থামাই। এ সময় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ সভা মঞ্চেই ছিলেন। পরে সবাই মিলে ঘটনাটি মিটমাট করেন।”
ঘটনার শিকার অখিল চন্দ্র বিশ্বাসের ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও তেলিখাল ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া বলেন, “অখিল মঞ্চে আসন গ্রহণ করার সময় আমার নাম পদবী ঠিকভাবে বলেনি। আমি তার থেকে বয়সে বড়, অথচ সে তুই-তুকারি করে নাম উপস্থাপন করেছে। যদিও অন্যদের নাম টাইটেলসহ সম্মানের সাথে বলেছে। সাবেক নেতাদের নাম সম্মান করে বলেছে, অথচ আমি তেলিখাল ইউনিয়নের তিনবারের চেয়ারম্যান। ইতা ক্রিটিসাইজ করা না নি আমারে নিয়া!
“সবার নাম ডাকে সাব, সাবেক সব বলে আর আমাকে শুধু আলফু মিয়া ডাকে। এটা তো উদ্দেশ্যমূলক আচরণ আমাকে নিয়ে।”
এরপরে লোকজন তারে মারছে। হাতাহাতির সময় মন্ত্রীও সভায় ছিলেন। পরে ঘটনাটি সবাই শেষ করে দিয়েছেন।”
এসব বিষয়ে কথা বলতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি।