রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। এতে ডুবে গেছে রাঙামাটি শহরে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। এই পরিস্থিতিতে আজ শুক্রবার থেকে দর্শনার্থীদের সেতুতে ওঠার ক্ষেত্রে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
পর্যটন করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ির চেঙ্গী, মাইনী; রাঙামাটির বাঘাইছড়ির কাচালং নদী এবং ভারতের মিজোরাম রাজ্য থেকে উৎপত্তি হওয়া কর্ণফুলী নদীর পানি কাপ্তাই হ্রদে এসে মিশেছে। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে গত চার দিনে কাপ্তাই হ্রদের পানি প্রায় সাত ফুট বেড়েছে। হ্রদের পানি বাড়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ঝুলন্ত সেতুতে পানি উঠতে শুরু করে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে প্রায় এক ফুট পানিতে ঝুলন্ত সেতু তলিয়ে যায়। ঝুঁকি এড়াতে পর্যটন করপোরেশনের পক্ষ থেকে সেতুতে দর্শনার্থীদের ওঠার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমাবলেন, হ্রদে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুলন্ত সেতুও ডুবে যাচ্ছে। তাই ঝুঁকি এড়াতে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সেতু দিয়ে পারাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। পানি কমলে পুনরায় দর্শনার্থীদের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হবে।
কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার দুপুরে কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ছিল ১০৫ দশমিক ৮৪ ফুট এমএসএল (মিন সি লেভেল)। গত সোমবার উচ্চতা ছিল ৯৮ দশমিক ২৫ ফুট এমএসএল। কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট পর্যন্ত।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলেন, হ্রদে পানি বাড়ায় কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বেড়েছে। আজ শুক্রবার ২১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গত সোমবার বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ২১৫ মেগাওয়াট। কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটই সচল রয়েছে। কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রে ২৩০ থেকে ২৪৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে।