আওয়াজ ডেস্ক :
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট) ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের (খুলনা) মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর তৈরি হলে ২০৫০ সাল নাগাদ করিডর অঞ্চলে ৭ কোটি ১৮ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। এই অঞ্চলে করিডরবিহীন অবস্থায় যে পরিমাণ মানুষের কর্মসংস্থান হতো, করিডর তৈরি হলে তার চেয়ে দুই দশমিক তিন গুণ বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ইকোনমিক করিডর ডেভেলপমেন্ট হাইলাইটস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এমন বক্তব্য তুলে ধরেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজার রহমান ও বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনের (বেজা) চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যাডিমন গিন্টিং। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুন চ্যাং হোং।
আলোচনা করেন এডিবির পরিচালক সব্যসাচী মিত্র, প্রাণ-আরএফএলের পরিচালক উজমা চৌধুরী ও পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ। সমাপনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী সদস্য অভিজিৎ চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সারা দেশেই সড়ক যোগাযোগব্যবস্থায় যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থারও উন্নতি হচ্ছে। তবে করিডর গঠনের ক্ষেত্রে তিনি রাজধানী ঢাকাকে এড়িয়ে বিকল্প সংযোগ উন্নয়নের পরামর্শ দেন।
এডিবি মনে করে- এই করিডর গড়ে উঠলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে এই করিডর অঞ্চলের জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩২ বিলিয়ন ডলার, করিডর গড়ে উঠলে তা ২৮৬ বিলিয়ন ডলার বা ২৮ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে উন্নীত হতে পারে।
বর্তমানে দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দেশের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা অঞ্চল। তাই বাংলাদেশের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের দিক বিবেচনায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল (খুলনা বিভাগ) থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট) পর্যন্ত আড়াআড়ি এই করিডর গঠনের পরামর্শ দিয়েছে এডিবি।
এডিবির মানচিত্র অনুযায়ী, এই করিডর ঢাকা বিভাগের উপর দিয়ে যাবে। এই অর্থনৈতিক করিডরে মোট ১৪টি জেলা পড়বে, যেখানে মোট জনসংখ্যার ৩৪ শতাংশের বসবাস।