বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২১ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি (২ হাজার ১১৫ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার)। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ ২ হাজার ৭০৫ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ২০২১ সালে এই রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উঠেছিল।
জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২০ দিনেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যায় ১৬২ কোটি মার্কিন ডলার। আর এর পরের সাত দিনে কমেছিল আরও ৩০ কোটি ডলার। একই সময় পাল্লা দিয়ে কমেছে প্রবাসী আয়। আবার সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ও কমেছে আগের মাসের তুলনায় ৯ শতাংশের বেশি। এসব কারণেই রিজার্ভ কেবল কমছেই।
বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজারে ডলারের পার্থক্য অনেক বেশি। এ কারণে বৈধ পথের চেয়ে অবৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বেড়ে গেছে। এ ছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে অর্থ পাচারের ঘটনাও বেড়েছে। এর ফলে বিদেশ থেকে প্রবাসীরা যে ডলার পাঠাচ্ছেন, তা আর দেশে আসছে না। কারণ, সেখানে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। যারা পাচারকারী, তারা দেশে টাকায় অর্থ পরিশোধ করছে আর বিদেশ থেকে ডলার সংগ্রহ করছে। এ চাহিদা কমানো না গেলে দেশে ডলার আসা বাড়বে না।