সিলেট ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে স্ত্রীসহ দুই সন্তান কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

Stuff
প্রকাশিত নভেম্বর ২৩, ২০২৩, ০৫:০৩ অপরাহ্ণ
সিলেটে স্ত্রীসহ দুই সন্তান কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

আওয়াজ ডেস্ক:: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায়  স্ত্রীসহ দুই সন্তান হত্যার দায়ে হিফজুর রহমান (৩৬) নামের একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের সিনিয়র দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।

সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নিজাম উদ্দিন রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি হিফজুর রহমানকে পৃথকভাবে তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১০ হাজার করে মোট ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আলোচিত হত্যা মামলায় ৩১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিফজুর রহমানের বাড়ি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৬ জুন হিফজুর রহমান নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা স্ত্রী আলেমা বেগম, ছেলে মিজান (১১) ও মেয়ে আনিছাকে (৫) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার ঘটনায় আলেমা বেগমের বাবা আইয়ুব আলী অজ্ঞাতনামা আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ হিফজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হিফজুর নিজেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। পরবর্তী সময় আদালতেও হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

মামলার তদন্তের পর গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক হিফজুর রহমানকে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ৭ জুলাই সিলেট দায়রা জজ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হিফজুর বলেছিলেন, তিনি অসুস্থ ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে স্বপ্নে দেখতে পান স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে বড় বড় মাছ ও সাপ খেয়ে ফেলছে। এ সময় ঘরে থাকা বঁটি নিয়ে অন্ধকারের মধ্যে তাদের বাঁচানোর জন্য এলোপাতাড়ি কুপিয়েছেন। পরে ঘরের বাতি জ্বালিয়ে দেখতে পান স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।

আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছেন, হিফজুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছেন, সেটি ইচ্ছাকৃতভাবে আংশিক অসত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তিনি নিজেকে মানসিকভাবে অসুস্থ দাবি করেননি।