আওয়াজ প্রতিবেদক:: সিলেটে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার মামলায় গণপূর্ত বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) আব্দুর রহিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত সোমবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক একিউএম নাছির উদদীন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আব্দুর রহিম সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার চকিরঘাট গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, এরআগে গত ৩ আগস্ট সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে আকলিমা বেগম (৩২) বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসিকে অভিযোগটি এজহার হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য আদেশ দেন। পরবর্তীতে কোতোয়ালি থানায় ১৫ আগস্ট এজহার হিসেবে অভিযোগটি নথিভুক্ত করা হয়।
মামলার বাদী আকলিমা বেগম সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিমাদল পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আরমিছ আলীর মেয়ে। এ মামলায় আব্দুর রহিম উচ্চ আদালত থেকে গত ২১ আগস্ট ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে সোমবার দুপুরে তিনিসহ মামলার অন্য আসামীরা সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত অপর দুই আসামীকে জামিন দিলেও আব্দুর রহিমকে কারাগারে পাঠান।
এ ব্যাপারে আকলিমা বেগম বলেন, আমাদের এক মেয়ে ও ২ ছেলে সন্তান রয়েছে। তাদের কথা চিন্তা করে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন বার বার হওয়ার পরেও সংসার ধরে রেখেছি। কিন্তু এরমধ্যে আমার স্বামী নেশা সেবনের পাশাপাশি অন্যনারীদের প্রতি তার আসক্তি বেড়ে যায়। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করা হতো। তার বিরুদ্ধে আমি নারী নির্যাতন মামলাও করেছিলাম। এরপর সে বুঝিয়ে আবারও ঘরে নিয়ে যায়। তবুও তার কোন পরিবর্তন হয়নি। বরং সে প্রতিধিন আমাকে মারধর করতো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নির্ম্মলেন্দু চৌধুরী পান্না। তিনি জানান, স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করেন গণপূর্ত বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) আব্দুর রহিম। এ ঘটনায় মামলা করেন আকলিমা বেগম। মামলায় আদালত ২ আসামীর জামিন দিলেও আব্দুর রহিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।