সিলেট ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দুই দফায় ৪৪ দলের মধ্যে ২৬ দলের অংশগ্রহণে  ইসির সংলাপ অনুষ্ঠিত

Stuff
প্রকাশিত নভেম্বর ৪, ২০২৩, ০৭:৫৮ অপরাহ্ণ
দুই দফায় ৪৪ দলের মধ্যে ২৬ দলের অংশগ্রহণে  ইসির সংলাপ অনুষ্ঠিত

আওয়াজ ডেস্ক:: আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ নিবন্ধিত ৪৪ রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার জন্য চিঠি দিয়ে আহ্বান করেছিলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দুই ধাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ২৬ দলের অংশগ্রহণ করলেও বিএনপিসহ ১১টি রাজনৈতিক দল ইসির সঙ্গে আলোচনায় সাড়া দেয়নি। ৩টি দল আগেই জানিয়ে দিয়েছে অংশগ্রহণ না করার কথা।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আওয়ামী লীগসহ ২২টি দলকে শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে এবং বিএনপিসহ ২২টি দলকে বিকেলে আলোচনায় বসার জন্য চিঠি দেয় ইসি।

সকালে আওয়ামী লীগলসহ ২২ দল আলোচনায় অংশ নিলেও ৯টি দল অনুপস্থিত ছিল। একইভাবে বিএনপিসহ ২২টি দলের অংশগ্রহণের কথা ছিল বিকেলে। তবে সেখানে বিএনপিসহ সমমনা ৯টি দল অংশগ্রহণ করেনি। ফলে দুই ধাপে ৪৪টি দলের মধ্যে ১৮টি রাজনৈতিক দল ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় প্রথম ধাপের আলোচনা। এতে অংশ নেয় ১৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। অংশ নেয়নি ৯টি দল। এর মধ্যে এলডিপি, বিজেপি এবং কল্যাণ পার্টি সংলাপে অংশ নেবে না বলে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে আগেই। বাকিরা অনুপস্থিত ছিল।

যে ৯টি দল আসেনি সেগুলো হলো- এলডিপি, বিজেপি, কমিউনিস্ট পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টি, মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, কল্যাণ পার্টি ও খেলাফত মজলিস।

অংশ নেয় আলোচিত তৃণমূল বিএনপি, এনডিএম ও গণফোরামের একাংশ। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত ফারুক খানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে আসে। আরও যেসব দল অংশ নেয় তাদের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি, ইসলামী ঐক্য জোটের একাংশ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম।

বিকেলে আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপিসহ ২২টি দলের অংশগ্রহণের কথা ছিল। তবে বিএনপি ও সমমনা ৯টি দল ইসির আলোচনায় অংশগ্রহণ করেনি।

নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো না এলেও ১৩টি দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাকের পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

তবে বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (বাংলাদেশ জাসদ) প্রতিনিধিরা অংশ নেননি।

তবে যেসব দল নানা কারণে আলোচনায় বসতে পারেনি তারা চাইলে পুনরায় বসতে পারে বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।