স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই বলেছেন, ভারতের চক্রান্তে সিলেটের পাথর কোয়ারী বন্ধ করে রাখা হয়েছে। পরিবেশ নষ্টের অজুহাতে সরকার ও প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা ভারতের দালালরা পতিত আওয়ামী সরকারের সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে দেশকে পঙ্গু করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, বন্ধ থাকা সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী খুলে না দিলে জনগনকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে। তিনি দ্রত পাথর কোয়ারী খুলে দেয়ার জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানান।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সিলেটের সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
পাথর শ্রমিক বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক সাংবাদিক আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন সিলেটের সমন্বয়কারী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, সিলেট মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা: রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, পাথর শ্রমিক বাঁচাও আন্দোলনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন বারের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এড. আরিজ আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক রোটারিয়ান শাহজাহান সেলিম বুলবুল পিএইচএফ, সিলেট জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মাছুম আহমদ লস্কর, রাহাদুজ্জামান প্রমুখ।
ফয়জুল করিম আরো বলেন, সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় নদীর নাব্যতা হারিয়েছে অপরদিকে সিলেট সহ সারাদেশ প্রতিবছর ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। ভারতের চক্রান্তেই পাথর কোয়ারী বন্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, পরিবেশবাদীদের দাবি উপেক্ষা করে আওয়ামী সরকার ভারতকে খুশি করতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছিল। ঢাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঢাকার পরিবেশ নষ্ট হলেও বুড়িগঙ্গা রক্ষায় সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অথচ লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান নষ্ট করে পাথর কোয়ারী বন্ধ করে রেখেছে। এদেশের মুক্তিকামী জনগণ ফ্যাসিস্ট, পতিত আওয়ামী সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারে না। আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে ইনশাল্লাহ।
