স্টাফ রিপোর্টার: মোঃ তারেক জাহান চৌধুরী: আজ ৫ই আগস্ট ২০২৪ সোমবার বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় এক সফল অভ্যূত্থান অনুষ্ঠিত হলো। উনুসত্তুরের গণঅভ্যূত্থান এ প্রজন্ম দেখেনি শুধুমাত্র ইতিহাসের পাতা পড়ে জেনেছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধ এর কোনটিই এ প্রজন্মের দেখার সুযোগ হয়নি। কিন্তু আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে শত শত তাজা প্রাণের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা আমার কথা নয় এটা বিজয়ী উল্লাসে মেতে উঠা এবং স্বজন হারানো অনেকের কথা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে সিলেটের রাজপথে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। মিছিলে মিছিলে স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় সমগ্র দেশের ন্যায় পুরো সিলেট মহানগরী। বিশেষ করে নগরীর প্রাণকেন্দ্র বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, সোবহানীঘাট, চালিবন্দর, চৌহাট্টা এবং সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ অভ্যূত্থানের আনন্দ এবং উল্লাসে মেতে উঠে পুরো নগরী।
এদিকে, বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর বাসা, বন্দরবাজার, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রের বাসা, জেলা পরিষদ কার্যালয়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসা, সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কাউন্সিলরের বাসা, লামাবাজার ও সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ি এবং দক্ষিণ সুরমা থানাসহ ধোপাদিঘীর পারস্থ হাফিজ কমপ্লেক্স, নয়াসড়কস্থ মাহা শপিং, চৌহাট্টাস্থ বিভিন্ন ফার্মেসীতে ও বাসায় অগ্নিসংযোগ—ভাঙচুর করা হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর টহল জোরদার ছিল এবং সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে বিজয়ী জনতা ‘ভি’ চিহ্নিত অভিবাদন জানান। নগরীর প্রতিটি পয়েন্টে পয়েন্ট খুব সাবলীল ভাবে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন অবস্থায় জনতাকে সংযত এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশনা প্রদান করেন। তবে পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবির কোন গাড়ি কিংবা সদস্যকে কোথাও দেখা যায়নি।
For more information
আরো দেখুন|