সিলেট ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

গাজায় বহু মানুষের আশ্রয়স্থল একটি স্কুলে ইসরায়েলের বিমান হামলা

admin
প্রকাশিত জুলাই ৭, ২০২৪, ০১:১৫ অপরাহ্ণ
গাজায় বহু মানুষের আশ্রয়স্থল একটি স্কুলে ইসরায়েলের বিমান হামলা

ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন গাজা উপত্যকার একটি স্কুলে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে

হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেন্ট্রাল গাজার শরণার্থী শিবিরে ওই ভবনটিতে কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলো।

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ বলেছে তারা আল জাওনি স্কুল এলাকায় “কিছু অবকাঠামো, যেখান থেকে সন্ত্রাসীরা কাজ করছিলো সেখানে আক্রমণ করেছে”।

অন্যদিকে ওই শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ভিন্ন এক হামলায় আরও দশ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

একজন নারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ভবনটিতে যখন আক্রমণ করা হয় তখন সেখানে কোরআন পড়ছিলো এমন কিছু শিশু নিহত হয়েছে।

“এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো তারা স্কুলকে টার্গেট করলো কোন ধরনের সতর্কবার্তা ছাড়াই,” বলছিলেন তিনি।

স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, হামাসের পুলিশ ব্যবহার করতো এমন একটি কক্ষকে টার্গেট করা হয়েছিলো।

হামাস বলছে শনিবারের এই হামলায় নিহতদের মধ্যে পাঁচজন স্থানীয় সাংবাদিকও রয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যদেরও টার্গেট করার খবর পাওয়া গেছে।

গত সাতই অক্টোবরের হামলার পর থেকে গাজায় একশর বেশি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস।

হামাস বলেছে শেষ পাঁচটি হামলার ঘটনাতেই মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৮ তে।

সামাজিক মাধ্যম এক্স এ দেয়া এক বিবৃতিতে আইডিএফ স্কুল ভবনে হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে তারা বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকি কমাতে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে ছিলো আকাশ থেকে সুনির্দিষ্ট নজরদারি ও অতিরিক্ত গোয়েন্দা কার্যক্রম।

হামাসের জঙ্গিরা ওই স্থানটিকে গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে আইডিএফ সৈন্যদের ওপর হামলা করতো বলে আইডিএফ দাবি করেছে।

তারা বলছে, “বেসামরিক অবকাঠামোর অপব্যবহার করে হামাস আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার জন্য”।

হামাস এ হামলাকে ‘সুরক্ষাহীন বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের’ ওপর ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

অনেকেই মারা গেছে এবং নারী, শিশু ও বয়স্করা আহত হয়েছে এর সংগঠনটি তাদের ইংরেজি ভাষার টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করেছে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে নতুন করে একটি চুক্তির প্রত্যাশা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বেড়েছে।

হামাসের সাথে জিম্মি মুক্তি বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে আলোচনাকারীদের একটি দল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস তার অবস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তনে সম্মত হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানানোর পর এ ঘোষণা আসলো।

হামাসের একটি সিনিয়র সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে গাজা যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রথম ধাপের সমঝোতার ১৬ দিন পর ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়ার বিষয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছে তারা।

অনেক স্কুল এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন অবকাঠামোগুলো প্রায় ১৭ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে। যুদ্ধের কারণে তারা নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। গত প্রায় আটমাস ধরে যুদ্ধ চলছে।

এর আগে নুসেইরাতে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে হামলায় ৩৫ জন নিহত হয়েছিলো।

স্থানীয় সাংবাদিকরা আমাদের বলেছেন যে সেসময় স্কুলের সবচেয়ে ওপরের ফ্লোর লক্ষ্য করে যুদ্ধবিমান থেকে তখন দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছিলো।

হামলার পর ইসরায়েলের মিলিটারি বলেছিলো যে তারা ‘স্কুলে হামাস কম্পাউন্ডে সুনির্দিষ্ট হামলা করেছে’ এবং তাদের বিশ্বাস এতে হামাসের ২০-৩০ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থার প্রধান জুন মাসের ওই ঘটনাকে ভয়াবহ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন সশস্ত্র গোষ্ঠী এর ভেতরে ছিলো যে দাবি করা হয় তা দু:খজনক কিন্তু এটি নিশ্চিত করা যায়নি।

গত সাতই অক্টোবর হামাসের সশস্ত্র সদস্যরা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে বারশ মানুষ হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজায় অভিযান চালিয়ে আসছে।

গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে কমপক্ষে ৩৮ হাজার ৯৮ জন মানুষ এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে।

Summary
গাজায় বহু মানুষের আশ্রয়স্থল একটি স্কুলে ইসরায়েলের বিমান হামলা
Article Name
গাজায় বহু মানুষের আশ্রয়স্থল একটি স্কুলে ইসরায়েলের বিমান হামলা
Description
ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন গাজা উপত্যকার একটি স্কুলে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে
Author
Publisher Name
sylheterawaz
Publisher Logo