হবিগঞ্জে কোটা সংষ্কারের দাবীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এঘটনার জের ধরে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগও করা হয়।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে হবিগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধরা শিক্ষার্থীরা হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাসভবনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা গণমিছিল কর্মসূচি দিয়েছেন। বাদ জুমা হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ চত্বর ও খোয়াই নদীর তীরে নূরুল হেরা জামে মসজিদের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসময় সাইফুর রহমান টাউন হলের সামনে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে নূরুল হেরা জামে মসজিদের সামনে থেকে মিছিল বের হলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলে বাঁধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কোর্ট মসজিদের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরাঅন্যান্য আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চলে যান। পরে শহরের দুটি স্থানে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, জুমার নামাজের পর থেকেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেয়া হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল।
তবে এ বিষয়ে বক্তব্য জানার চেষ্টা করে তাৎক্ষণিক হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি।।
Summary
Article Name
হবিগঞ্জে শিক্ষার্থী-পুলিশ-আ.লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ, অর্ধশত আহত