সিলেট ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সালুটিকর ডিগ্রী কলেজে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রভাষক সালেহ আহমদের দায়িত্ব গ্রহণ

admin
প্রকাশিত আগস্ট ২৫, ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ণ

দেশের পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে অধ্যক্ষ শাকির উদ্দিন পলাতক থাকায় সালুটিকর ডিগ্রী কলেজে আজ ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন সিনিয়র প্রভাষক রাষ্ট্র বিজ্ঞানের মোঃ সালেহ আহমদ। এদিকে, নতুন অধ্যক্ষ কে শুভেচ্ছা জানাতে কলেজে ছুটে আসেন কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যগন, এলাকার মুরব্বি, অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ, সালুটিকর বাজারের ব্যবসায়ী, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন। এ সময় কলেজের শিক্ষকগণ ও ছাত্র/ছাত্রী সহ সকলের পদচারণায় ক্যাম্পাসে ভিড় ও এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরে প্রিন্সিপাল কক্ষে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে শিক্ষক, ছাত্র প্রতিনিধি ও অভিভাবকগণ নিজ নিজ অনুভুতি ব্যক্ত করেন এবং ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল কে সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন। সভায় ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মোঃ সালেহ আহমদ দায়িত্বভার গ্রহণ করে সকলের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করেন। তিনি সালুটিকর ডিগ্রী কলেজ কে উচ্চ শিক্ষার একটি মান সম্পন্ন আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

 

জানা যায়, সালুটিকর কলেজ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গতকাল অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আহবায়ক আরিফ আহমদের আবেদনটি গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গ্রহণ করেন। আবেদনে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের উক্ত মোঃ সালেহ আহমদ কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব দিতে আবেদন জানানো হয়েছিল। আবেদনে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সালুটিকর ডিগ্রী কলেজ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় অধ্যক্ষ শাকির উদ্দিন আহত ছাত্রদের খোঁজ খবর না নিয়ে উল্টো বহিষ্কারের হুমকী দেন এবং তিনি পলাতক রয়েছেন। জানা যায়, শাকির উদ্দিন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য।

 

সালুটিকর কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ শাকির উদ্দিনের পদত্যাগ দাবী করে আসছে। কারণ হিসাবে ১২টি অভিযোগ উল্লেখ করে একটি লিফলেট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে অধ্যক্ষ শাকির উদ্দিনের বিরোদ্ধে বিগত ১০ বছরে লাখ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। নন্দীরগাঁও ইউ/পির সাবেক সিরাজ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাকির উদ্দিনের বিরোদ্ধে ৫০ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ করেছেন। গতকাল সাধারণ সভায় এলাকা বাসীর নিকট তিনি কলেজের পক্ষে বিচার প্রার্থী হয়েছেন।

শিক্ষক নিয়োগে সীমাহীন অনিয়ম ও দূর্ণীতি এবং কলেজ থেকে মেধাবী শিক্ষকদের অহেতুক নানা বাহানায় বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। লেখা পড়ার মান ও ফলাফলে চরম অবনতি এবং কলেজ এমপিও হতে কেন ১৬ বছর দেরী হয়েছিল? এজন্য অধ্যক্ষ শাকির উদ্দিন কে দায়ী করা হয়েছে। ছাত্রীদের হিজাব পরিধানে বাধা প্রদানের অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষ শাকির উদ্দিনের বিরোদ্ধে।