আওয়াজ ডেস্ক:: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি আমেরিকার (যুক্তরাষ্ট্র) নাগরিক ছিলাম। নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে এসেছি। খুব কম সংখ্যক লোক নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে স্বদেশে ফেরে। আমি মনে করি, দেশ আমাদের বিনা পয়সায় পড়িয়েছে। দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আমাদের আছে, আমি আশা করব অন্যরাও দেশের প্রতি এ দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করবে। ড. মোমেন বলেন, স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছি। দেশটাকে উন্নত, সমৃদ্ধশালী, স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। আমরা যদি না করি, হু উইল ডু দ্যাট? (এটা কে করবে)। দেশের লোকদের এটি করতে হবে, বিদেশিরা কখনো আপনার মঙ্গল চাইবে না।
মার্কিন ভিসানীতির ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে একটা ভয়-ভীতি থাকতে পারে, কিংবা এ ধরনের যারা সমাজের উঁচুস্তরের মানুষ আছেন তাদের মধ্যে থাকতে পারে। কারণ তাদের ছেলেমেয়ে বিদেশে থাকে। ওনারা অনেকে ঘুস-টুস খেয়ে দুর্নীতি করে বিদেশে বাড়ি-ঘর করেছেন। ওনাদের একটা ভয় থাকতে পারে যে ওনাদের যদি ভিসা না দেয় তাহলে বাড়ি-ঘরটা দেখভাল করবেন কীভাবে?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছে যারা আগে ভিসা পেয়েছেন তাদেরও বাদ দিতে পারেন। তো এখন অনেকের ছেলেমেয়ে ওখানে থাকে, সরকারি চাকরি করলে একটা সুবিধা চোখ-মুখ খোলা হয় তখন। পেপারে (সংবাদপত্রে) দেখলাম ২৯ জন সচিবের একাধিক ছেলেমেয়ে বিদেশে থাকেন। বিদেশে কিন্তু থাকা খুব এক্সপেন্সিভ (ব্যয়বহুল), ইটস নট ইজি (এটি সহজ নয়)। তার মানে কত পয়সা? ওনারা কেউ কেউ হয়তো কাজ-কর্ম করে, কিন্তু কাজ-কর্ম করলেও ইটস নট ইজি। এদের হয়তো ভয় লাগতে পারে কী না কী হয়!’
সূত্র: ইনকিলাব