আওয়াজ ডেস্ক: সিলেট স্ট্রাইকার্স ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন দলটির সাবেক চেয়ারম্যান সারোয়ার চৌধুরী। ফলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল সিলেটের মালিকানা ইস্যুতে হঠাৎ তোলপাড় দেশের ক্রীড়াঙ্গনে।
এদিকে, সিলেট স্ট্রাইকার্সের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক শতাংশের মালিকানাও মাশরাফির ছিল না। এখনও নেই। জোর করে মালিকানা লিখে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্টে নিজের অবস্থান পরিস্কার করলেন সেই সারোয়ার।
বুধবার ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মূলত আমেরিকায় ব্যবসা করি, এছাড়াও আমি নিউইয়র্কভিত্তিক ক্রিকেট লিগ এনওয়াইবিসিএল এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং দীর্ঘ ৫ বছর এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং নিউইয়র্ক ভিত্তিক বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে আমার হেলাল বিন ইউসুফের সাথে পরিচয় এবং তার মাধ্যমেই আমার মাশরাফি বিন মর্তুজার সাথে পরিচয় হয়।’
তিনি বলেন, ‘মাশরাফি আমার অন্যতম প্রিয় একজন প্লেয়ার ছিলেন। যাকে আমি এতটা পছন্দ করতাম সেই মাশরাফির রাজনৈতিক অফিসে, তার এবং যার মাধ্যমে এখানে আশা সেই হেলাল বিন ইউসুফে শুভ্রের উপস্থিতিতে অবরুদ্ধ করে এবং অস্ত্র দেখিয়ে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাশরাফির মতো একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব ছিল। তাই আমি আমার এবং আমার পরিবার-পরিজনের যারা অনেকেই বাংলাদেশেই বসবাস করেন তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কিছু করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে যখন অবরুদ্ধ করে হুমকি দেওয়া হল, তখন সরকারের প্রভাবশালী কারও বিরোধিতা করলে গুম হওয়া খুব অবাস্তব আশঙ্কা ছিল না। তাই হুমকি আমাকে সিরিয়াসভাবেই নিতে হয়েছে। কিন্তু এখন আমি ন্যায়বিচার পাবার ব্যাপারে আশাবাদী।’
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সারোয়ার চৌধুরী রাজধানীর পল্লবী থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয় মাশরাফিকে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। মামলাটিতে মাশরাফি ছাড়াও হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র, মো. ইমাম হাসান, অজ্ঞাতপরিচয় (রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কম্পানির এক কর্মকর্তা), কে এম রাসেল, বাবলুসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
For more information
আরো দেখুন|