সরকারের দাবি, এর ফলে বিভিন্ন পদে উপযুক্ত ও দক্ষ মানুষকে নিয়োগ করা যাবে। তাতে সরকারের কাজে গতি ও দক্ষতা বাড়বে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ যুগ্ম সচিব এবং ৩৫ উপসচিব ও অধিকর্তা নিয়োগের জন্য ইউপিএসসি বিজ্ঞাপন দেয়।
মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথম সরব হয় কংগ্রেস। লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি নিয়মের বাইরে গিয়ে আরএসএস ক্যাডারদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করতে চাইছেন, তা করতে গিয়ে তিনি সংরক্ষণের নীতি লঙ্ঘন করছেন। রাহুলের সঙ্গে বিরোধিতায় স্বর মেলায় সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, তৃণমূল কংগ্রেস, বামপন্থী দলসহ অনেকে। এমনকি বিজেপির শরিক জেডিইউ ও লোক জনশক্তি পার্টিও সরব হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান বলেন, এই নীতিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটবে। প্রত্যেকেরই এক কথা, মোদি সরকার সংরক্ষণ প্রথা এড়িয়ে সরকারি পদে নিয়োগ দিতে চলেছে শুধু উচ্চবর্গীয় সমমনাদের। রাহুল তো সরাসরি জানিয়ে দেন, বিজেপির দলিত, তফসিল, আদিবাসী ও অনগ্রসর বিরোধী চরিত্রের প্রমাণ এই সিদ্ধান্ত। তিন রাজ্য ও জম্মু কাশ্মীর বিধানসভার ভোটের আগে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ে অবশেষে মোদি সরকার সরে আসতে বাধ্য হলো।
মোদির তৃতীয় দফায় ক্ষমতা গ্রহণের পর পিছিয়ে আসার এটি পঞ্চম উদাহরণ। স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে, আগের দুবারের তুলনায় সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে এবার তিনি যথেষ্ট দুর্বল। এর আগে তিনি মাত্র একবার আইন পাস করেও তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন। দেশব্যাপী কৃষক বিক্ষোভ তাঁকে বাধ্য করেছিল তিন বিতর্কিত আইন ফিরিয়ে নিতে। তখন তিনি কোনো শরিকের মুখাপেক্ষী ছিলেন না। এখন প্রতি পদে তাঁকে ভাবতে হচ্ছে।